,

দালাল না ধরলেই পাসপোর্টের আবেদন দেখানো হতো ‘ত্রুটিপূর্ণ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট দিতে ঘুস নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের হবিগঞ্জের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম। এ সময় ওই অফিসে পাসপোর্ট দিতে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য অভিযোগকারী ও পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা। তারা সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্র জানায়, সেবাপ্রত্যাশীরা দুদক টিমকে জানিয়েছেন, পাসপোর্টের আবেদনে ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে আবেদন নিতে দেরি করেন কর্মকর্তারা। তবে কোনো দালাল বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আবেদন করলে তখন ত্রুটিপূর্ণ আবেদনও গ্রহণ করা হয়। এজেন্সিগুলোর সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মরত কর্মচারীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। এদিকে, অভিযোগ সূত্রে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত নথিপত্র ও তথ্য-প্রমাণ এবং মোবাইলের কললিস্ট বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট মোট ৮টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার মধ্যে দুটি অভিযান রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল), খুলনার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২৪৬টি পর্দাসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অভিযান পরিচালনা করে। দুদকে খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের টিম সরেজমিনে রেলওয়ে কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। দুদক টিম সত্য উদঘাটনে জন্য অডিট প্রতিবেদন ও টেন্ডারের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছেন। তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে।


     এই বিভাগের আরো খবর